আপনি যদি আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলোর পাসওয়ার্ড ম্যানেজ করার জন্য আপনার ডিভাইসে কোন ডেডিকেটেড পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যাবহার করেন, তাহলে হয়তো আপনি লাস্টপাস অ্যাপটির সাথে পরিচিত। কারণ, এটাই বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় এবং সবথেকে বেশি ব্যাবহার হওয়া পাসওয়ার্ড ম্যানেজার। আপনি লং টাইম লাস্টপাস ইউজার হয়ে থাকলে হয়তো আপনি কয়েকদিন আগে লাস্টপাস থেকে ইমেইলও পেয়েছেন যেখানে তারা নিজেদের বিজনেস মডেলের কিছু চেঞ্জের ব্যাপারে ইউজারদেরকে জানিয়েছে।
যদি আপনি লাস্টপাস ইউজার হয়ে এখনো লাস্টপাসের নতুন সিস্টেমের ব্যাপারে না জেনে থাকেন, তাহলে আগে সমস্যাটা জেনে নিন। এখন থেকে লাস্টপাসের ফ্রি ইউজাররা মাল্টি-ডিভাইস সিংকিং ফাংশনালিটি পাবেন না। একেবারেই পাবেন না তেমন না, ব্যাপারটা একটু কমপ্লিকেটেড। আপনি যদি শুধুমাত্র মোবাইল ডিভাইসে লাস্টপাস ব্যাবহার করেন, তাহলে আপনি আপনার সবগুলো মোবাইল ডিভাইসেই লাস্টপাস আগের মতোই ব্যাবহার করতে পারবেন এবং কয়েকটি ডিভাইসের মধ্যে পাসওয়ার্ড সিংকিং এর ফিচারটি উপভোগ করতে পারবেন। কিন্তু সবগুলো ডিভাইসই মোবাইল ডিভাইস হতে হবে।
আর যদি আপনি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে লাস্টপাস ব্যাবহার করেন, তাহলেও আপনি পাসওয়ার্ড সিংকিং ফিচারটি পাবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে সবগুলো ডিভাইসই ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ ডিভাইস হতে হবে। অর্থাৎ আপনি মোবাইল ডিভাইসের পাসওয়ার্ড ডেক্সটপ ডিভাইসে কিংবা ডেস্কটপ ডিভাইসে সেভ করা পাসওয়ার্ড মোবাইল ডিভাইসে অটোমেটিক্যালি সিংক করতে পারবেন না। যেসব ফ্রি ইউজার আমার মতো ডেক্সটপ এবং মোবাইল দুই ধরনের ডিভাইসেই লাস্টপাস ব্যাবহার করেন, তাদের জন্য এটা অনেক বড় একটি ইস্যু। প্রত্যেকটি ডিভাইসে আলাদা আলাদাভাবে পাসওয়ার্ড সেভ করা খুব সহজ কোন কাজ না।
আপনি যদি প্রতি মাসে ২ ইউএস ডলার পে করে লাস্টপাসের প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নিয়ে আবার এসব ফাংশনালিটি ফিরে পেতে চান, তাহলে সেটা আপনার ব্যাপার। কিন্তু আপনি যদি পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের জন্য কোন টাকা খরচ না করতে চান এবং ফ্রি ইউজার হয়েই আগের মতোই লাস্টপাসের মাল্টি-ডিভাইস পাসওয়ার্ড সিংকিং ফাংশনালিটি ফিরে পেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য একমাত্র সল্যুশন হচ্ছে অন্য একটি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যাবহার করা। আপনি যদি ইতোমধ্যেই লাস্টপাসের অলটারনেটিভ অ্যাপস খুঁজতে শুরু করে থাকেন, যেখানে আপনি আগের লাস্টপাসের মতো ফ্রি পাসওয়ার্ড সিংকিং ফিচার পাবেন, সেক্ষেত্রে আমার মতে আপনার জন্য বেস্ট সল্যুশন হতে চলেছে ওপেনসোর্স পাসওয়ার্ড ম্যানেজার, বিটওয়ার্ডেন (BitWarden)। চলুন বিটওয়ার্ডের একটি ছোট ফিচারস ওভারভিউ এবং প্রস অ্যান্ড কনসের ব্যাপারে আলোচনা করা যাক।
এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সমূহ
বিটওয়ার্ডেন ফিচারস (Pros)
সত্যি কথা বলতে লাস্টপাসের মতো এত বড় স্টার্টআপ না হলেও বিটওয়ার্ডেনে আপনি লাস্টপাসের ফ্রি ভার্সনে যত ধরনের ফিচারস পেতেন, তার সবগুলোই পাবেন। শুধু তাই নয়, এছাড়াও বিটওয়ার্ডেনে কয়েকটি এক্সট্রা ফিচারস আছে যেগুলো আপনি লাস্টপাসের ফ্রি ভার্সনেও পাবেন না। যেমন- অবশ্যই ক্রস ডিভাইস পাসওয়ার্ড সিংকিং! যাইহোক, যদিও বিটওয়ার্ডেনে লাস্টপাসের সবকিছুই আছে, তবুও এটির কিছু হাইলাইটেড ফিচারস নিচে দেখে নিতে পারেন।
মিলিটারি গ্রেড সিকিউরিটি
প্রথমত বিটওয়ার্ডেন একটি ওপেন-সোর্স পাসওয়ার্ড ম্যানেজার হওয়ায় আপনি এটার প্রত্যেকটি অপারেটিং সিস্টেমের অ্যাপসগুলোর সোর্স কোড নিজেই চেক করতে পারবেন যদি আপনার এটির ব্যাপারে কোন ট্রাস্ট ইস্যু থেকে থাকে। বিটওয়ার্ডেন আপনার পাসওয়ার্ডগুলো ২৫৬ বিট মিলিটারি গ্রেড AES এনক্রিপশনের সাহায্যে সিকিওর রাখে যার ফলে আপনাকে পাসওয়ার্ড লিক বা পাসওয়ার্ড সিকিউরিটির ব্যাপারে চিন্তা করতে হবেনা।
বিটওয়ার্ডেনের ক্লাউড সার্ভারে যে সিকিউরিটি টেকনোলজি এবং এনক্রিপশন ব্যাবহার করা হয়, এই এনক্রিপশন পৃথিবীর লিডিং ব্যাংকগুলো এবং বিভিন্ন দেশের সরকারও তাদের ডাটাসেন্টারে ব্যাবহার করে। তাই আপনি বিটওয়ার্ডেনের ক্লাউড সার্ভারের ওপরে আস্থা রাখতেই পারেন। যদিও এটি বিটওয়ার্ডেনের কোন ইউনিক ফিচার নয়, কারণ লাস্টপাসও পাসওয়ার্ড স্টোর করার জন্য তাদের সার্ভারে একই ধরনের সিকিউরিটি এবং এনক্রিপশন ব্যাবহার করে।
অফলাইন পাসওয়ার্ড স্টোরেজ
তবে একটি ইউনিক ফিচার বিটওয়ার্ডেনে আছে, যা হচ্ছে অফলাইন স্টোরেজ। অর্থাৎ আপনি যদি প্রাইভেসি নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত থাকেন, তাহলে আপনি চাইলে বিটওয়ার্ডেনের ক্লাউড সার্ভার ব্যাবহার না করে আপনার সব পাসওয়ার্ড বিটওয়ার্ডেনের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসের লোকাল স্টোরেজে স্টোরেজে সেভ করে রাখতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি বিটওয়ার্ডেন শুধুমাত্র একটি ডিভাইসে ব্যাবহার করতে পারবেন, ক্রস ডিভাইস পাসওয়ার্ড সিংকিং এর ফাংশনালিটি পাবেন না। তবে বিটওয়ার্ডেনের সার্ভার অবশ্যই আপনার ডিভাইসের স্টোরেজের থেকে বেশি সিকিওর, তাই এই ফিচার ব্যাবহার করার সত্যিকারে কোন পয়েন্ট নেই। আপনার অফলাইন সিংকিং দরকার হলে আপনি লাস্টপাসই ব্যাবহার করতেন না ইন দ্যা ফার্স্ট প্লেস।
আনলিমিটেড পাসওয়ার্ড, নোটস এবং কার্ড ইনফো স্টোরেজ
লাস্টপাসের মতোই বিটওয়ার্ডেনেও আপনি যত ইচ্ছা ততগুলো পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখতে পারবেন। অন্যান্য অনেক পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ফ্রি ইউজারদেরকে আনলিমিটেড পাসওয়ার্ড সেভ করার সুযোগ দেয় না। হয়তো সর্বোচ্চ ৫০ টা অথবা ১০০ টা পর্যন্ত পাসওয়ার্ড সেভ করা সুযোগ দিয়ে থাকে। তবে বিটওয়ার্ডেনে এই ধরনের কোন লিমিটেশন নেই। শুধুমাত্র পাসওয়ার্ডই না, আপনি আনলিমিটেড ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড নাম্বারও সেভ করে রাখতে পারবেন আপনার পাসওয়ার্ড ভল্টে। আবার আপনি চাইলে আপনার বিটওয়ার্ডেন ভল্টে কোন নোট লিখেও সিকিওরলি সেভ করে রাখতে পারবেন, যদিও এটা করার কোন পয়েন্ট দেখিনা আমি।
অ্যাপ-বেজড টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন
এছাড়াও বিটওয়ার্ডেনে আপনি টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যাবহার করতে পারবেন আপনার অ্যাকাউন্টের সর্বোচ্চ সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে। তবে ফ্রি ইউজার হলে আপনি ফোন নাম্বার ব্যাবহার করে এসএমএসের মাধ্যমে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যাবহার করতে পারবেন না। তবে আপনি সহজেই অন্যান্য অথেনটিকেটর অ্যাপসের সাহায্যে অ্যাপ-বেজড টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যাবহার করতে পারবেন। যেমন- গুগল অথেনটিকেটর বা মাইক্রোসফট অথেনটিকেটর। আবার আপনি চাইলে সিমপ্লি ইমেইল অথেনটিকেশনও ব্যাবহার করতে পারেন।
পাসওয়ার্ড জেনারেটর
একটা পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে স্ট্রং পাসওয়ার্ড জেনারেটর থাকবেনা এমন হতেই পারেনা। অন্যান্য সব পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের মতো বিটওয়ার্ডেনেও পাবেন একটি স্ট্রং পাসওয়ার্ড জেনারেটর, যার সাহায্যে আপনি নতুন কোন ওয়েবসাইট বা সার্ভিসে সাইন আপ করার সময় সহজেই একটি স্ট্রং পাসওয়ার্ড তৈরি করে নিতে পারবেন। আপনি পাসওয়ার্ডের ক্যারেক্টার কাউন্ট, কমপ্লেক্সিটি সবকিছুই নিজের মতো করে সেট করে স্ট্রং পাসওয়ার্ড জেনারেট করতে পারবেন। আবার পাসওয়ার্ড জেনারেট করার সময় যদি সহজেই মনে রাখা যায় এমন একটি পাসওয়ার্ড তৈরি করতে চান, সেটাও করতে পারবেন।
পাসওয়ার্ড শেয়ারিং
বিটওয়ার্ডেনের ফ্রি ইউজার হিসেবে আপনি চাইলে আপনার অ্যাকাউন্টে সেভ করা যেকোনো ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড আপনি চাইলে আপনার চুজ করা কোন একজনের সাথে শেয়ার করতে পারবেন। আপনি চাইলে আপনার সিলেক্ট করা কোন পাসওয়ার্ড শেয়ার করতে পারবেন, আবার চাইলে আপনার সম্পূর্ণ পাসওয়ার্ড ভল্টটিও শেয়ার করতে পারবেন। তবে ১ জনের বেশি ইউজারের সাথে পাসওয়ার্ড শেয়ার করতে চাইলে আপনাকে বিটওয়ার্ডেনের প্রিমিয়াম প্ল্যানে বা অর্গানাইজেশন প্ল্যানে সাবস্ক্রাইব করতে হবে।
ক্রস ডিভাইস পাসওয়ার্ড সিংকিং
অবশ্যই, এই ফিচারটার জন্যই আমরা বিটওয়ার্ডেন নিয়ে কথা বলছি। এই ফিচারটি লাস্টপাসেও ছিলো, তবে কয়েকদিন আগেই তারা ফ্রি ইউজারদের জন্য এই ফিচারটি বন্ধ করে দিয়েছে। যাইহোক, বিটওয়ার্ডেনে আপনার সেভ করা পাসওয়ার্ডগুলো আপনি যতগুলো যত ধরনের ডিভাইসে বিটওয়ার্ডেন ক্লায়েন্ট ইন্সটল করবেন, সবগুলো ডিভাইসেই অটোমেটিক্যালি সিংক হবে, যার ফলে আপনি মোবাইল ফোনে সেভ করা পাসওয়ার্ড সহজেই আপনার ডেস্কটপ এবং অন্য সব ডিভাইস থেকেই অ্যাক্সেস করতে পারবেন। উল্লেখ্য- অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, ম্যাকওএস, উইন্ডোজ এবং লিনাক্স সবকিছুইর জন্যই বিটওয়ার্ডেনের ডেডিকেটেড অ্যাপ এবং প্রায় সব মেজর ডেস্কটপ ব্রাউজারের জন্যই বিটওয়ার্ডেনের প্লাগিন বা এক্সটেনশন এভেইলেবল আছে।
বিটওয়ার্ডেনের সমস্যা (Cons)
হ্যাঁ, কিছু পেতে গেলে কিছু হারাতেও হয়। আর কোন ফ্রি অ্যাপ বা সার্ভিসই আপনাকে কখনোই ১০০% সন্তুষ্ট করতে পারবে না। লাস্টপাস থেকে বিটওয়ার্ডেনে মুভ করলে আপনাকে লাস্টপাসের কিছু ভালো ফিচারকে বিদায় জানাতেই হবে। তবে, খুব বড় কিছু হারাতে হচ্ছেনা এক্ষেত্রে। বিটওয়ার্ডেনের ফিচারসের কাছে এই সমস্যাটা বলতে গেলে তেমন কিছুই না। একটা সমস্যা হচ্ছে ইউজার ইন্টারফেস। তবে বিটওয়ার্ডেনের ইউজার ইন্টারফেস অনেকটা পার্সোনাল প্রিফারেন্সের ওপরে ডিপেন্ড করে।
ইউজার ইন্টারফেস
বিটওয়ার্ডেনের ওয়েব ভল্টের ইউজার ইন্টারফেস, ব্রাউজার এক্সটেনশনের ইউজার ইন্টারফেস এবং মোবাইল অ্যাপসের ইউজার ইন্টারফেস লাস্টপাসের মতো এত এলিগ্যান্ট নয়। বিটওয়ার্ডেনের ইন্টারফেস খুবই সাদামাটা। যদিও ইউজার ইন্টারফেস দেখতে একেবারেই আউটডেটেড মনে হয়না, তবে খুব বেশি ফ্যান্সি ইন্টারফেস নেই বিটওয়ার্ডেনে। বিটওয়ার্ডেনের ব্রাউজার এক্সটেনশন এবং ওয়েব ইন্টারফেসের সব জায়গায় আপনি বুটস্ট্র্যাপ সিএসএসের ছোঁয়া দেখতে পাবেন। আপনার যদি বুটস্ট্র্যাপের ওয়েবসাইট ভালো লাগে তাহলে বিটওয়ার্ডেনের ইন্টারফেসও আপনার ভালো লাগবে। তবে আমিসহ অনেকের কাছেই বুটস্ট্র্যাপের এই চিরচেনা ইউজার ইন্টারফেস খুব একটা পছন্দ হয়না।
আর এছাড়াও বিটওয়ার্ডেনে মোবাইল অ্যাপসগুলোর ইউজার ইন্টারফেসও খুব একটা মডার্ন নয়। হ্যাঁ, অবশ্যই অ্যান্ড্রয়েডে বিটওয়ার্ডেন অ্যাপে ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন দেওয়া হয়েছে, তবে ডিজাইনটি ডিসেন্ট হলেও এখনকার ২০২০-২১ সালের ম্যাটেরিয়াল ডিজাইনের মতো এতটা পলিশড নয়। তবে আপনি যদি ডিজাইন এবং ইউজার ইন্টারফেস নিয়ে খুব বেশি খুঁতখুঁতে না হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার কাছে এটা কোন ইস্যুই হবে না।
পাসওয়ার্ড ফিলিং
আরও একটা সমস্যা হচ্ছে, ডেস্কটপ ডিভাইসে বিটওয়ার্ডেনের ব্রাউজার এক্সটেনশন থেকে কোন ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড ফিল্ড ফিল করা একটু ঝামেলার। লাস্টপাস ব্যাবহার করলে পাসওয়ার্ড ফিল করার জন্য আপনি জাস্ট পাসওয়ার্ড ফিল্ডের ওপরে ক্লিক করলেই সেখানেই একটি পপআপ পেতেন যেটায় ক্লিক করলে পাসওয়ার্ড ফিল হয়ে যেত। তবে বিটওয়ার্ডেন ব্যাবহার করলে আপনাকে পাসওয়ার্ড ফিল্ডে রাইট মাউস-ক্লিক করে কন্টেক্সট মেনু ওপেন করে সেখান থেক Bitwarden অপশনে হোভার করে এরপর সেখানে শো করা আপনার সেভ করা প্রোফাইলে গিয়ে Fill অপশনে ক্লিক করতে হবে, যা সত্যি কথা বলতে লাস্টপাসের তুলনায় অনেকটাই ঝামেলার কাজ। তবে কিছুদিন ধরে বিটওয়ার্ডেন ব্যাবহার করতে থাকলে আপনি এই এক্সট্রা প্রোসেসের সাথে অভ্যস্থ হয়ে যাবেন এবং এরপরে আর এটাকে কোন সমস্যাই মনে হবেনা।
শেষ কথা
ওপরের সেকশনে মেনশন করা এই দুটি সমস্যা ছাড়া বিটওয়ার্ডেনে আর তেমন কোন মেজর সমস্যা নেই, যার কারণে আপনার ইউজেসে কোনরকম ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তবে সত্যি কথা বলতে, বিটওয়ার্ডেন বর্তমানে ফ্রি-তে যত ফিচার অফার করছে, সেসব এই মুহূর্তে আর কোন পাসওয়ার্ড ম্যানেজার অফার করে না। এই ব্যাপারটা যদি মাথায় রাখেন, তাহলে বিটওয়ার্ডেনের এই ছোট ছোট প্রবলেমগুলো আর কোন প্রবলেম মনে হওয়ারই কথা না। আর, বিটওয়ার্ডেন যেহেতু ওপেন-সোর্স প্রোডাক্ট, আমার মনে হয়না লাস্টপাসের মতো এমন কোন সিরিয়াস সিদ্ধান্ত বিটওয়ার্ডেনও ভবিষ্যতে নিতে পারে। তবে ভবিষ্যতে কি হবে তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
আর হ্যাঁ, লাস্টপাস থেকে বিটওয়ার্ডেনে আপনার সব এক্সিস্টিং পাসওয়ার্ড ইমপোর্ট করা খুবই সহজ। আপনাকে জাস্ট লাস্টপাসের সেটিংস মেনুর অ্যাডভান্সড অপশনস থেকে আপনার সব পাসওয়ার্ড CSV ফাইলে এক্সপোর্ট করতে হবে এবং বিটওয়ার্ডেনের সেটিংস মেনু থেকে ওই CSV ফাইলটি আবার ইমপোর্ট করে নিতে হবে। এছাড়া আর কোনরকম এক্সট্রা সেটাপের প্রয়োজন পড়বে না।
আর সাইনআপ প্রোসেস, অ্যাপ সেটাপ, অটোফিল সেটাপ, মাস্টার পাসওয়ার্ড সেটাপ বিটওয়ার্ডেনের এই বাকি সবকিছুই একেবারেই লাস্টপাসের মতোই। আপনি যদি লাস্টপাস ইউজার হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে এসব আর নতুন করে বলে দেওয়ার দরকার হবে না।