অলমোস্ট যেকোনো ওয়েবসাইটে ইউজ করুণ ডার্ক মোড

ডার্ক থিম সত্যিই অসাধারণ, একে তো রাতে ওয়েব পেজ ব্রাউজ করতে অনেক সুবিধা হয় এবং দ্বিতীয়ত ডার্ক থিম অনেক কুল লাগে। তবে এটা ভালো খবর যে অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ডেভেলপার’রা ডিফল্ট ভাবেই তাদের ওয়েবসাইট বা অ্যাপে ডার্ক মোড সুবিধা প্রদান করছেন। ইউটিউব বা টুইটারের ডার্ক থিম অলরেডি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছে!

এখন গুগল বা ওয়্যারবিডি ডার্ক মোডে ইউজ করা গেলে কতোই না কুল হতো তাই না? — সৌভাগ্যবশত সেটা সম্ভব। যদিও বেশিরভাগ ওয়েবসাইটে ডার্ক থিম সাপোর্ট থাকে না, কিন্তু ব্রাউজার লেভেল থেকে অলমোস্ট যেকোনো ওয়েবসাইটে ডার্ক মোড ইউজ করা যায়।

আজকের এই কুইক টিপস অ্যান্ড ট্রিকস মূলক আর্টিকেলটিতে এটাই দেখানো হয়েছে, কিভাবে মোটামুটি যেকোনো ওয়েবসাইট’কে ডার্ক বানিয়ে ইউজ করবেন!


যেকোনো ওয়েবসাইট ডার্ক থিম

এমনিতেই সূচনা অনেক বড় হয়ে গিয়েছে, তাই লং স্টোরি শর্ট — যেকোনো ওয়েবসাইটকে ডার্ক মোডে ইউজ করার জন্য আমরা একটি ব্রাউজার এক্সটেনশন বা অ্যাডঅন ইউজ করবো যার নামঃ Dark Reader (ডার্ক রিডার)। আপনি এই লিংককে ক্লিক করলেই ডার্ক রিডারের ওয়েবসাইটে চলে যাবেন। আর এদের ওয়েবসাইটে এক বার প্রবেশ করা মানেই দুনিয়ার প্রায় সব ওয়েবসাইট ডার্ক মোডে ইউজ করার থেকে আপনি মাত্র আর একটুখানি দূরে

বর্তমানে ডার্ক রিডার এক্সটেনশনটি কেবল তিনটি ব্রাউজারের জন্য লভ্য; গুগল ক্রোম, মোজিলা ফায়ারফক্স এবং সাফারি। আপনি যেকোনো ব্রাউজারের লিংকে ক্লিক করা মাত্রই সেই ব্রাউজারের এক্সটেনশন ডাউনলোড করার পেজে চলে যাবেন। যেমন- আপনি যদি ক্রোম আইকনের উপর ক্লিক করেন সেক্ষেত্রে সরাসরি ক্রোম ওয়েব স্টোরে চলে যাবেন।

ক্রোম ওয়েব স্টোর থেকে সাধারণভাবে জাস্ট এক্সটেনশনটি অ্যাড করে নিলেই কাজ শেষ। ঠিক একইভাবে মোজিলা ফায়ারফক্সে ও এটি ইন্সটল করে নিতে পারবেন। ম্যাক ইউজারদের জন্য একটু খারাপ খবর সেটা হচ্ছে যদিও এটি ক্রোম বা ফায়ারফক্সের জন্য ফ্রি কিন্তু সাফারির জন্য এটি ফ্রি নয়। (কি যায় আসে তাতে? ম্যাক ইউজার’রা এমনিতেই বড়লোক্স!) সুতরাং আপনি ম্যাক ওএস থেকে এটি এক্সটেনশন সাফারিতে ইউজ করতে চাইলে পকেট থেকে ৫$ ডন্ডি লেগে যাবে!

তবে মাথায় রাখা ভালো, এটা সকল ওয়েবসাইটের সাথে একেবারে পারফেক্ট কাজ করবে না, যতোটা ডিফল্ট ডার্ক থিম করে। তবে আমার অভিজ্ঞতা অনুসারে নাই মামার চেয়ে কানা মামায় ভালো, আর যতোটুকুই কাজ করে, অসাধারণ বলতেই হবে।

ডার্ক রিডার

এক্সটেনশনটি ইন্সটল করার পর থেকেই এটি কাজ করতে শুরু করে দেবে। আর আবার কাছে সবচাইতে যে ব্যাপারটি কুল লেগেছে; আপনি ম্যানুয়াল ভাবে ব্রাইটনেস, কনট্রাস্ট ইত্যাদি কনফিগ করতে পারবেন। এরমানে আপনি কারেন্ট ডার্ক থিমের সাথে খুশি না হলে সবসময়ই সেটিং অ্যাডজাস্ট করে নিতে পারবেন।

আরেকটি ভালো জিনিষ হচ্ছে, আপনি এক্সেপশন অ্যাড করতে পারবেন, এর মানে আপনি সেট করে রাখতে পারবেন কোন ওয়েবসাইট ডার্ক থিম শো করবে এবং কোন ওয়েবসাইট লাইট থিম শো করবে। যেমন- আপনি ওয়্যারবিডি থেকে অনেক সময় ধরে আর্টিকেল গুলো পড়েন, তাই এতে ডার্ক মোড সেট করে নিলেন, আর ফেসবুকে নর্মাল মোড রেখে দিলেন। এখন এই সাইট গুলো ভিজিট করার সময় স্বয়ংক্রিয় আপনার সেট করা সেটিং অনুসারেই কাজ হবে। আর এটি এক্সটেনশনটির সাইট লিস্ট ট্যাব থেকে করা যেতে পারে।

এক্সটেনশনটি কিন্তু যথেষ্ট চালাক ও বটে। যে ওয়েবসাইট গুলোতে বিল্ডইন ডার্ক মোড ফিচার থাকে এক্সটেনশনটি ঐ ডিফল্ট ফিচারকেই পূর্বে প্রাধান্য প্রদান করে। ধরুন, আপনি ইউটিউবে নর্মাল থিম ইউজ করছেন। তার উপরে এক্সটেনশনটির ডার্ক থিম লাগিয়ে রেখেছেন, এখন আপনি যদি ইউটিউবের ডিফল্ট ডার্ক থিম টগল করে দেন সেক্ষেত্রে এক্সটেনশনটির ডার্ক মোড ডিফল্ট ডার্ক মোডের সাথে ওভার রাইড হয়ে যাবে।

এখন যদি কথা বলি মোবাইল ডিভাইজের জন্য এটি ব্যবহার করা যাবে কিনা, সেক্ষেত্রে সুখবর এবং দুঃখের সংবাদ দুটোই রয়েছে। প্রথমত, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে গুগল ক্রোমে এক্সটেনশন ইউজ করা যায় না, ফলে ডার্ক রিডার এক্সটেনশনটি গুগল ক্রোমে আপনার ফোনে কাজ করবে না। কিন্তু আপনি ফোনে মোজিলা ফায়ারফক্সের সাথে এই অ্যাডঅনটি দিব্বি ইউজ করতে পারবেন।

যখনই নতুন কোন এক্সটেনশনের কথা আসে, অবশ্যই প্রাইভেসি নিয়ে আলোচনা করে নেওয়াটাও ভালো। এই এক্সটেনশনটির ডেভেলপারদের অনুসারে এরা কোন প্রাইভেট ডাটা কালেক্ট করে না, তারপরেও এটা রেকোমেন্ডেড যে আপনি নিজে এই লিংকে ক্লিক করে তাদের প্রাইভেসি পলিসি গুলো পড়ে নিন, তারপরে ইউজ করুণ, যদি প্রাইভেসি অনেক বেশি ম্যাটার করে আপনার কাছে!


আর্টিকেলের টাইটেলেই লেখা রয়েছে এটি একটি কুইক ট্রিকস টাইপের আর্টিকেল, তাই আর বেশি কিছু লেখার নেই। আপনি জাস্ট এই এক্সটেনশনটি ইন্সটল করার মাধ্যমে অনেক কুল একটি ফিচার আনলক করতে পারবেন, আর বাকি বিষয় গুলোর বিস্তারিত তো জানলেনই!

Image Credit: Shutterstock

About the author

তাহমিদ বোরহান

আমি তাহমিদ বোরহান, বেশিরভাগ মানুষের কাছে একজন প্রযুক্তি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটে বাংলায় টেক কন্টেন্ট এর বিশেষ অভাব রয়েছে, তাছাড়া উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপর দিয়েই যায়। ২০১৪ সালে প্রযুক্তি সহজ ভাষায় প্রকাশিত করার লক্ষ্য রেখেই ওয়্যারবিডি (পূর্বের নাম টেকহাবস) ব্লগের জন্ম হয়! আর এই পর্যন্ত কয়েক হাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশিত করে বাঙ্গালীদের টেক লাইফ আরো সহজ করার ঠেকা নিয়ে রেখেছি!

সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গান শুনি আর ইউটিউবে র‍্যান্ডম ভিডিও দেখি। ওয়ার্ডপ্রেস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন, এবং ইউআই/ইউএক্স ডিজাইনের উপরে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে। নিজের গল্প, মানুষের গল্প, আর এলোমেলো টপিক নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি। খাওয়া আর ঘুম আমার আরেক প্যাশন!

Add comment

Categories