গত কয়েক বছর ধরে আপনি কোন পাথরের গুহায় লুকিয়ে না থাকলে, ই-কমার্স (E-Commerce) শব্দটি অবশ্যই শুনেছেন। আমরা ঠিক কেউই জানিনা, মানুষ প্রথম কবে থেকে জিনিষের বিনিময়ে জিনিষ লেনদেন করতে শুরু করেছিলো। পূর্বে ধাতুর কয়েন ব্যবহার করে তারপরে কাগজের টাকা ব্যবহার করে যেকোনো জিনিষ কেনা সম্ভব। কিন্তু আজকের চিন্তা ভাবনার সাথে সবকিছু পরিবর্তিত হয়ে গেছে; জিনিষ কেনা বেচার এমন এক বাণিজ্য ব্যবস্থা চালু হয়েছে যেখানে কয়েন বা কাগজের টাকা দিয়ে কিছু কিনতে হয় না। শুধু আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল নিয়ে বসুন, স্ক্রীনে জিনিষ পছন্দ করুন, কিছু ক্লিক করুন, ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড নাম্বার প্রবেশ করান আর আপনার দরজার সামনে পণ্য আসার অপেক্ষা করুন। অনলাইন ভিত্তিক এই দোকান, একে তো ভোক্তাদের জীবন সহজ করেছে অনেক সুবিধা জনকভাবে দ্বিতীয়ত ব্যবসা করার সম্পূর্ণ নতুন এক সম্ভবনা খুলে দিয়েছে। তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক, এটি কি এবং কীভাবে কাজ করে…
এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সমূহ
কমার্স
ই-কমার্স সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় ঢুকে পড়ার আগে, আমাদের পুরাতন কমার্স বা বাণিজ্য সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিৎ। সাধারন বাণিজ্য ব্যবস্থা বুঝে গেলে ই-বাণিজ্য বুঝতে মোটেও অসুবিধা হবে না। বাণিজ্য বলতে আমরা সাধারনত বুঝি, টাকার বিনিময়ে কোন পণ্য বা সেবা প্রদান করা। আমাদের চারপাশের যেখানেই টাকা রয়েছে সেখানেই বাণিজ্য রয়েছে, কিন্তু লাখো আলাদাভাবে সেগুলো বিস্তৃত। ধরুন আপনি কোন মুদীখানার দোকানে গেলেন কিছু কিনতে, আপনি কিছু পণ্য কিনলেন এবং টাকা পরিশোধ করে পণ্যটি সাথে নিয়ে আসলেন; এভাবে আপনি বাণিজ্যের একটি অংশে অংশ গ্রহন করলেন। আবার ধরুন আপনি নিজেই হাতে তৈরি করা ব্যাগ তৈরি করেন এবং আপনার বাড়ির সামনে আপনার তৈরি ব্যাগ গুলো নিয়ে বসলেন বিক্রি করার উদ্দেশ্যে; এভাবেও আপনি কমার্সের সাথে অংশ গ্রহন করলেন। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কোন অফিসে গিয়ে প্রোডাক্ট তৈরি করেন, সেটাও কমার্সের মধ্যে পড়ে। তো উদাহরণ গুলো থেকে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, কমার্সের কতোগুলো রুপ থাকতে পারে।
কমার্সের যতো রুপই থাকুক না কেন, সকল রুপেই কিন্তু কয়েকটা বিষয় কমন। একটি বাণিজ্য সফল করতে চাইলে সেখানে তিনটি বিষয় প্রয়োজনীয় হয়, ক্রেতা (Buyers), বিক্রেতা (Sellers), এবং উত্পাদনকারী (Producers)। ক্রেতা হলেন তারা যারা টাকা দিয়ে কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় করেন। বিক্রেতারা ক্রেতাদের সেই পণ্য বা সেবা প্রদান করেন, আবার অনেক বিক্রেতা ছোট ছোট বিক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রি করে, আবার সরাসরি ক্রেতাদের কাছেও বিক্রি করতে পারেন। উত্পাদনকারীরা নিজে থেকে কোন পণ্য বা সেবা উৎপন্ন করেন বিক্রেতাদের জন্য যাতে তারা এগুলো ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন। উত্পাদনকারীরাও এক ধরনের বিক্রেতা, তারা বড় বড় বিক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রি করেন কিংবা তারা নিজেও ক্রেতাদের কাছে পণ্য পৌঁছাতে পারেন।
আরো সহজ উদাহরণ স্বরূপ; রাস্তার পাশের পপকর্ন ওয়ালার কথা মনে করুন, সে নিজে পপকর্ন তৈরি করে বিক্রি করে। অতএব সে কমার্সে, উৎপাদনকারী এবং একজন বিক্রেতা আর আপনি পপকর্ন কিনলে, ক্রেতা। আশা করছি এই বিষয়টি এবার সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার।
ই-কমার্স
ই-কমার্সেও কমার্সের মূল বিষয় গুলোকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করা হয়। এখানেও ক্রেতা, বিক্রেতা, এবং পণ্য বা সেবা উৎপাদনকারীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে সাধারন কমার্স থেকে ই-কমার্সে সম্পূর্ণ ব্যাপারটি একটু কঠিন। সাধারন দোকানে যাওয়ার পরে কোন পণ্য পছন্দ করে দোকানীর হাতে ক্যাশ দিয়ে হাতে পণ্য উঠিয়ে চলে আসেন, কিন্তু ই-কমার্সে আপনি সাথে সাথে পণ্য হাতে পাবেন না, যতক্ষণ ই-স্টোর থেকে আপনার ঠিকানায় পণ্য পাঠিয়ে না দেওয়া হয়। আপনার কাছে যদি সাথে সাথে পণ্য হাতে না পাওয়াটা সমস্যার বিষয় হয় তবে আরো কিছু সমস্যার ব্যাপার রয়েছে যেগুলো একজন ই-বিক্রেতা বা অনলাইন বিক্রেতাকে পোহাতে হয়। প্রথমত তাকে টাকার অনলাইন লেনদেন প্রসেসিং করতে হয়, দ্বিতীয়ত আপনার অর্ডার করা পণ্যটি স্টকে রয়েছে কিনা সেটা যাচাই হয় এবং পণ্যটি আপনার সঠিক ঠিকানায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হয়।
ক্রেতা, বিক্রেতা, এবং পণ্য উৎপাদনকারী ছাড়াও ই-কমার্সে আরো প্রধান তিনটি বিষয় রয়েছে; একটি ওয়েব সার্ভার, যেটা অনলাইন স্টোরটিকে ম্যানেজ করে এবং টাকা লেনদেন সম্পূর্ণ করার জন্য ব্যাংক কম্পিউটারের সাথে কানেক্টেড থাকে, একটি ডাটাবেজ সিস্টেম; যেটা সর্বদা যাচায় করে পণ্যটি স্টকে রয়েছে কিনা এবং যখন কেউ কোন অর্ডার করে ডাটাবেজ থেকে সেই পণ্যটির সংখ্যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যায়, এবং একটি ডিসপ্যাচ সিস্টেম যেটা সরাসরি গুদামের সাথে সংযুক্ত থাকে যাতে অর্ডার সফল হওয়ার পরে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব পণ্যকে ক্রেতার কাছে পৌছিয়ে দেওয়া যায়।
এই তিনটি বিষয়ের মধ্যে প্রথমটি একটি ই-কমার্সের জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয়। অনেক ছোট ই-কমার্স ব্যবসায়ী ডাটাবেজ আর ডিসপ্যাচ সিস্টেম ম্যানুয়ালি হ্যান্ডেল করে। তারা সাধারন ভাবে একটি ওয়েবসাইট রান করে যেখান থেকে ক্রেতারা পণ্য অর্ডার করে এবং তারপরে সেগুলোকে ম্যানুয়ালি হ্যান্ডেল করা হয়।
ই-কমার্স কীভাবে কাজ করে?
চলুন চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক, সম্পূর্ণ ই-কমার্স সিস্টেম কীভাবে কাজ করে তার উপর। তবে সব সাইটই যে নিচের বর্ণিত হুবহুভাবে কাজ করে এমনটা নয়।
- প্রথমে আপনি আপনার ইন্টারনেট এনাবল থাকা কম্পিউটার বা মোবাইল নিয়ে বসে পছন্দের ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্রাউজারে লোড করেন। আপনার ব্রাউজার সাইটের সার্ভারের সাথে যোগাযোগ করে আপনাকে সর্বদা ওয়েব পেজ গুলো সার্ভ করতে থাকে।
- কোন প্রোডাক্ট অর্ডার করলে তার তথ্য ওয়েব সার্ভার অর্ডার ম্যানেজার প্রোগ্রামের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
- অর্ডার ম্যানেজার প্রোগ্রাম ডাটাবেজ চেক করে দেখে, প্রোডাক্টটির স্টক রয়েছে কিনা।
- ডাটাবেজ নিশ্চিত করে পণ্যটি স্টকে রয়েছে এবং বিক্রেতার অনুসারে একটি সম্ভাব্য ডেলিভারি তারিখ নির্ধারণ করে দেয়।
- যেহেতু পণ্যটি স্টকে রয়েছে তাই অর্ডার ম্যানেজার লেনদেন সিস্টেমের সাথে যোগাযোগ করে ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড থেকে বিল কেটে নেওয়ার জন্য। আবার সিস্টেম ব্যাংক কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করে ক্রেতার অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট পরিমানে ফান্ড রয়েছে কিনা চেক করার জন্য।
- ব্যাংক কম্পিউটার থেকে অনুমতি পেয়ে নিশ্চিত হলে লেনদেন আরো সামনে এগোয়, কিন্তু সাইটটি তৎক্ষণাৎই টাকা পেয়ে যায় না, কিছু দিন অপেক্ষা করতে হয়।
- লেনদেন সফল হওয়ার পরে সিস্টেমটি ওয়েব সার্ভারকে জানিয়ে দেয়।
- ওয়েব সার্ভার কাস্টমারকে একটি পেজ প্রদর্শন করে জানায়, তার অর্ডারটি সফল হয়েছে এবং আরো বিল তথ্য জানানো হয়।
- অর্ডার ম্যানেজার এবার গুদামের কম্পিউটারে রিকোয়েস্ট করে পণ্যটি সঠিক ভাবে কাস্টমারের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
- এবার ট্রাকে করে আপনার পণ্য আপনার ঠিকানার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়।
- একবার পণ্য গুদাম থেকে রওনা হওয়ার পরে, গুদামের কম্পিউটার থেকে আপনার ইমেইল অ্যাড্রেসে মেইল করে আপনাকে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়।
- পরিশেষে পণ্যটি আপনার দুয়ারের সামনে এসে যায়।
এখন ক্রেডিট কার্ডের পাশাপাশি ডেলিভারিতে ক্যাশ প্রদান করা অনেক জনপ্রিয় একটি পেমেন্ট মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে ক্রেতা হিসেবে আপনার ঝুঁকি কমে যায় এবং সাইটকেও লেনদেন সিস্টেমের ঝামেলা পোহাতে হয় না। সব ই-কমার্স কোম্পানির গুদাম থাকে না, আবার সবাই নিজস্ব যানবাহনে পণ্য পৌঁছায় না, বাংলাদেশের বেশিরভাগ ই-কমার্স সাইট কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করে পণ্য পৌছিয়ে থাকে।
কীভাবে নিজের ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করবেন?
ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকা প্রয়োজনীয়। আর আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইনই আপনার ভার্চুয়াল স্টোর কতটা সফল কিংবা বিফলে যাবে সেটা নির্ধারণ করে। ডিজাইন বলতে আপনার সাইট দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হতে হবে এমনটা বুঝায়নি; আপনার সাইট ইউজার বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে যাতে সহজেই কেউ তার পছন্দের পণ্যটি খুঁজে পেতে পারে, আপনার সাইটটি বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে, সাইটটি দিনে ২৪ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৭ দিন অ্যাক্সেসেবল হতে হবে এবং দ্রুত পেজ লোড হতে হবে।
আজকাল ই-কমার্স সাইট তৈরি এবং ডিজাইন করা অনেক সহজ ব্যাপার, কয়েক ঘণ্টায় একটি সাইট বানানো সম্ভব। অনেক কোম্পানি রেডিমেড সাইট টেম্পলেট বিক্রি করে যেগুলোর দাম অনেক কম। তাছাড়া ওয়েব সার্ভারকে আপনি প্রয়োজন অনুসারে স্কেল করে নিতে পারবেন। আপনি চাইলে অনলাইন পেমেন্ট গ্রহন করার জন্য নিজস্ব লেনদেন সিস্টেম উন্নতি করতে পারেন আবার পেপাল বা অন্যান্য পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস ব্যবহার করে লেনদেন নিশ্চিত করতে পারবেন। আবার কিছু বড় বড় সাইট রয়েছে যেমন- অ্যামাজন, তাদের সাইটের একট ছোট্ট ভার্সনকে আপনার সাইটে চালাতে সাহায্য করে, এতে পণ্য বিক্রি হওয়ার পরে আপনি কিছু কমিশন কামাতে পারেন।
একটি সফল অনলাইন ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে আরেকটি ফ্যাক্টর হলো “উপযুক্ত ডোমেইন নাম” পছন্দ করা। আপনার ডোমেইন নামটি আপনার সার্ভিসের সাথে মিল রেখে নির্বাচন করা উচিৎ এবং অবশ্যই এমন নাম নির্বাচন করুন যেটা সহজেই মনে থাকবে। যেমন- cat.com, food.com, caulbriki.com ইত্যাদি। তবে কিছু অত্যন্ত সফল ই-কমার্স সাইট যেমন- অ্যামাজন, ইবেই ইত্যাদি প্রমাণিত করেছে যে আপনার সার্ভিস আর ওয়েবসাইটের নামের সাথে মিল না থেকেও সফল ব্যবসা করা যায়। কিন্তু এতে সময়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, মানুষ আপনার সাইটে আসবে, ভালবাসবে, বিশ্বাস করবে, পণ্য কিনবে।
আপনি যদি নিজের তৈরি পণ্য বিক্রি করতে চান ভালো কথা, কিন্তু অনেক ধরনের পণ্য বিক্রির জন্য আপনাকে অন্যান্য বিক্রেতা এবং উৎপাদনকারীর সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে। ক্রেতা যেমন আপনার সাইটে কিছু পণ্য কিনতে আসবে তেমন বিভিন্ন বিক্রেতারাও আপনার সাইটে পণ্য বিক্রি করতে আসবে। এখন এই ক্রেতা এবং বিক্রেতারা আপনার সাইট কীভাবে খুঁজে পাবে এবং আপনার সাইটকে চিনবে সেটা নিশ্চিত করতে আপনাকে মার্কেটিং করাতে হবে। কেউ যদি আপনার সাইট না চেনে, তবে আপনি কখনোই কোন পণ্য বিক্রি করতে পাবেন না। অনলাইনে মার্কেটিং করানোর অনেক মাধ্যম হয়েছে। আপনি ফেসবুক বা গুগলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন আবার চাইলে আপনার পছন্দের বা উপযুক্ত জনপ্রিয় সাইটে আপনার সাইটের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন, এভাবে মানুষ আপনার অনলাইন স্টোর সম্পর্কে অবগত হবে।
টাকা লেনদেন করার জন্য আপনাকে একাধিক লেনদেন ব্যবস্থা রাখতে হবে। সবার কাছে ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড ব্যবস্থা থাকেনা, তাই মোবাইল ব্যাংকিং বা ক্যাশ অন ডেলিভারি ব্যবস্থাও রাখতে হবে। কিছু কিছু সময় ক্রেতারা পণ্য কেনার পরেও সেটি পছন্দ করে না, তাই পণ্য ফেরত নেওয়ারও পদ্ধতি বানাতে হবে। কিছু সময় পণ্য ক্রেতা পর্যন্ত না পৌছতেই ভেঙ্গে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়, সেগুলো রিফান্ড বা ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। কাস্টমারের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে বা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে কাস্টমার সাপোর্ট ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। অনলাইনেও আপনি কাস্টমার সাপোর্ট দিতে পারেন আপনার একটি কল সেন্টার স্থাপন করেও কাস্টমার সাপোর্ট দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া সততা এবং নিষ্ঠার সাহায্যে ব্যবসা করে কাস্টমারের সাথে একটি বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক স্থাপন করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
শেষ কথা
আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি যারা নতুন ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের অনেক উপকারে আসবে, পাশাপাশি এই সিস্টেম কীভাবে কাজ করে সেটা সম্পর্কেও আপনি বিস্তারিত জানলেন। অনলাইন থেকে কেনা বেচার অসংখ্য সুবিধার মাঝে কিছু অসুবিধাও রয়েছে, যেমন- পছন্দের পণ্য খুঁজে পেতে দেরি হতে পারে, দাম অঝথা বেশি হতে পারে, নতুন সাইট গুলোর উপর সহজে বিশ্বাস করা যায় না এবং অনলাইন কেনাকাটার জনপ্রিয়তার ফলে অফলাইন বা লোকাল মার্কেটের ব্যবসা কমে যাচ্ছে।
Images: Shutterstock.com