বর্তমান সময়ের স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্সের সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী সংস্থাটি ভিডিও গেমসের দুনিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করছে। মূলত ২০১৯ সালে নেটফ্লিক্স প্রথম বারের মতো ফোর্টনাইটের মতো বড় গেমের সাথে কাজ করে, কিন্তু সেই সময় সংস্থাটির গেমিং ডিপার্টমেন্ট তেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। তবে বর্তমান সময়ে সংস্থাটি তাদের স্ট্রিমিং সেবাগুলি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ডিজনি, এইচবিও, অ্যাপল এর মতো ভিডিও গেমস ইন্ডাসট্রিগুলোকে টার্গেট করেছে। দ্য ইনফরমেশন-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন সিরিজের স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্স তাদের ভবিষ্যতের গেমিং প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসার চিন্তা করছে এবং তারা তাদের গেমিং প্ল্যাটফর্মের জন্য এক জন অভিজ্ঞকে নিয়োগ দেওয়ারও পরিকল্পনা করছে।
প্রতিবেদনটি থেকে এটা স্পষ্ট যে, সংস্থাটি গেমিং প্ল্যাটফর্ম তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বড় কোন উদ্যোগ নিতে চলেছে। তবে নেটফ্লিক্স নিজেই গেমিং স্টুডিও তৈরি করবে, নাকি কোন থার্ড পার্টি ইন্ডাস্ট্রি দ্বারা ভিডিও গেম পাবলিশ করতে চাইছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। মনে করা হচ্ছে নেটফ্লিক্স, মাইক্রোসফ্টের এক্সক্লাউড, অ্যামাজনের লুনা এবং গুগলের স্টাডিয়া কে টক্কর দিতে নিজেকে তৈরি করছে। তবে নেটফ্লিক্স আপাতত একটি সাবস্ক্রিপশন সেবা তৈরির ব্যাপারে কাজ করছে যেখানে অ্যাপল আর্কেড বা এক্সবক্স গেম পাসের মতো গেমস কেনার সময় এক জন গেমার বিভিন্ন গেমের উপর অফার বা ডিসকাউন্ট দেখতে পারবে। নেটফ্লিক্সের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “আমাদের ইউজাররা আমাদের কনটেন্টের বৈচিত্র্য এবং গুণমানকে অনেক মূল্য দিয়ে থাকে। এই কারণেই আমরা ধারাবাহিক ভাবে তথ্যচিত্র, চলচ্চিত্র, এবং রিয়েলিটি টিভিতে প্রতিনিয়ত আমাদের অফার প্রচার করেছি।”
তিনি আরো বলেন, ” নেটফ্লিক্স ব্যবহারকারীরা ব্যান্ডারনার্চ, ইউ বনাম ওয়াইল্ড, স্ট্রেঞ্জার থিংস, মানি হাইস্ট এর মতো সিরিজ এর উপর নির্মিত গেমগুলির মাধ্যমে তাদের পছন্দের গল্পগুলির সাথে আরও বেশি ক্লোজ হতে পারবেন। তাই আমরা ইন্টার্যাক্টিভ বিনোদন সহ আরও কিছু করতে আগ্রহী।” তাই ধারন করা যায়, নেটফ্লিক্স তাদের গেমিং প্ল্যাটফর্ম নিয়ে একটু বেশিই গভীর ভাবে চিন্তা ভাবনা করছে। তাই নেটফ্লিক্স বর্তমান সময়ে শুধু স্ট্রিমিং জায়ান্ট-ই নয়, সাথে ভবিষ্যতে অনেক বড় গেমিং প্ল্যাটফর্ম ও হয়ে উঠতে পারে।